ঘৃতকুমারী

অ্যালো (অ্যালো) অ্যাসফোডেল পরিবারের একটি বহুবর্ষজীবী রসালো উদ্ভিদ। কখনও কখনও উদ্ভিদটিকে Liliaceae পরিবারও বলা হয়। 250 টিরও বেশি বিভিন্ন প্রজাতি এই বংশে একত্রিত। ফুলের জন্মভূমি আফ্রিকার উষ্ণতম এবং শুষ্কতম অঞ্চল। পাতার ব্লেডের আর্দ্রতা সংরক্ষণের কারণে ঘৃতকুমারী উদ্ভিদটি বরং চরম পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকতে সক্ষম। এটি অ্যালোকে একটি দুর্দান্ত নজিরবিহীন হাউসপ্ল্যান্ট করে তোলে। তবে নির্বাচিত ধরণের ঘৃতকুমারীকে আলংকারিক দিক থেকে আরও ভাল দেখানোর জন্য, গাছটির এখনও যত্ন নেওয়া দরকার।

ঘৃতকুমারী বর্ণনা

ঘৃতকুমারী পাতার ব্লেডগুলি প্রায়শই মূল থেকে সরাসরি প্রসারিত হয়। এরা সাধারণত লম্বা এবং মাংসল হয়। কিছু প্রজাতির পাতায় কাঁটা থাকে এবং কিছু মোমের আবরণে আবৃত থাকে। ঘৃতকুমারী ফুলগুলি ব্রাশ বা প্যানিকলের মতো এবং উজ্জ্বল হলুদ, কমলা বা লাল নলাকার বা ঘণ্টা আকৃতির ফুল নিয়ে গঠিত। তবে বাড়িতে, অ্যালো জেনাসের মাত্র কয়েকটি প্রতিনিধি ফুল ফোটে।

বেশ কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে, এই উদ্ভিদটি ফার্মাসিউটিক্যাল এবং খাদ্য শিল্পে পাওয়া যায় - এটি থেকে টনিক পানীয় তৈরি করা হয়। কিছু ধরণের ঘৃতকুমারীর ঔষধি গুণ রয়েছে, তাই প্রাচীনকাল থেকেই এগুলি ওষুধে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এইভাবে, ঘৃতকুমারী রস পোড়া এবং purulent ক্ষত নিরাময় ত্বরান্বিত করতে সক্ষম। এটি একটি rejuvenating প্রভাব সঙ্গে অঙ্গরাগ মুখোশ রচনা মধ্যে প্রবেশ করে। পাতাগুলি থেকে রেচক প্রভাব সহ একটি পদার্থ পাওয়াও সম্ভব। সাধারণত, ঔষধি উদ্দেশ্যে, দুই ধরনের গাছপালা বাড়িতে রাখা হয়: গাছ এবং বিশ্বাস।

বাড়ির ফুলের চাষে, আপনি এই উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রজাতি এবং উপ-প্রজাতির একটি সংখ্যা খুঁজে পেতে পারেন, আকার এবং বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যে ভিন্ন।

ঘৃতকুমারী বৃদ্ধির জন্য সংক্ষিপ্ত নিয়ম

টেবিলটি বাড়িতে অ্যালোর যত্ন নেওয়ার জন্য সংক্ষিপ্ত নিয়মগুলি উপস্থাপন করে।

কিছু ধরণের ঘৃতকুমারীর রস ঔষধি হিসাবে বিবেচিত হয়। অন্যান্য জিনিসের মধ্যে, এটি প্রদাহ উপশম করতে, ক্ষতগুলি নিরাময় করতে, একটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রভাব ফেলে এবং ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীপিত করতে সহায়তা করে তবে এই জাতীয় ওষুধটি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।

অ্যালো জন্য বাড়িতে যত্ন

ঘৃতকুমারী এমন একটি নজিরবিহীন উদ্ভিদ যে এটির ন্যূনতম বিশুদ্ধ প্রতীকী যত্ন প্রয়োজন। ঘৃতকুমারী সঠিক এবং সম্পূর্ণ সহজ যত্ন উদ্ভিদ শুধুমাত্র একটি হোম ডাক্তার না, কিন্তু একটি বিস্ময়কর আলংকারিক প্রসাধন যা অভ্যন্তর পরিপূরক হবে।

লাইটিং

ঘৃতকুমারী খুব হালকা-প্রেমময়, দক্ষিণ জানালার সিলগুলি এটির জন্য উপযুক্ত, এমনকি ফুলের সরাসরি রশ্মিগুলিও ভীতিজনক নয়, যদিও খুব রোদযুক্ত এবং গন্ধযুক্ত জায়গায় এটি এখনও কিছুটা ছায়াযুক্ত হতে পারে। কিন্তু যদি গাছটিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য একটি অন্ধকার কোণে রাখা হয়, তবে এটি ধীরে ধীরে আলোতে শেখানো হয়, আলোকসজ্জার মাত্রা বৃদ্ধি করে। শীতকালে বুশ প্রাকৃতিক আলোর অভাব হলে, বাতি ব্যবহার করা যেতে পারে।

তাপমাত্রা

বসন্ত এবং গ্রীষ্মে, ঘৃতকুমারী বাড়ির ভিতরে ভাল বৃদ্ধি পায়। গ্রীষ্মের সর্বোত্তম তাপমাত্রা + 22-25 ডিগ্রি। উষ্ণ দিন শুরু হওয়ার সাথে সাথে, ফুলটি বাতাসের মাধ্যমে বহন করা যেতে পারে, বৃষ্টিপাত থেকে সুরক্ষিত জায়গা বেছে নেওয়ার চেষ্টা করে। যদি গাছটি বাড়িতে থাকে তবে এটির সাথে ঘরটি আরও প্রায়ই বায়ুচলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

শীতকালে, উদ্ভিদটি বিশ্রামে থাকে, তাই এটি একটি শীতল কোণে রাখা ভাল (+14 ডিগ্রির বেশি নয়), যদিও উদ্ভিদটি +10 ডিগ্রি তাপমাত্রার হ্রাস সহ্য করতে পারে। ঘৃতকুমারী গরম থাকলে সূর্যের আলোর অভাবে তা প্রসারিত হতে শুরু করবে।

জল দেওয়া

এর রসালো গঠনের কারণে, ঘৃতকুমারী খরার সময়কাল সহ্য করতে সক্ষম, তবে জল না দিয়ে গাছটিকে সম্পূর্ণরূপে ছেড়ে দেওয়ার এবং মাটির গলদ দিয়ে শুকানোর পরামর্শ দেওয়া হয় না। বৃদ্ধির সময়কালে, পাত্রের মাটির উপরের স্তর শুকিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ঘৃতকুমারীকে জল দেওয়া হয়। শীতকালে, এটি কয়েকবার কম প্রায়ই করা হয়, শুকানোর পরে অন্তত কয়েক দিন অপেক্ষা করার চেষ্টা করে। যদি এই সময়ে ঘৃতকুমারীর একটি পাত্র প্রায় +15 ডিগ্রি কম তাপমাত্রা সহ একটি ঘরে রাখা হয়, তবে আপনি মাটি প্রায় সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন, যাতে জলাবদ্ধতার রোগের বিকাশ না হয়।

এটি গুরুত্বপূর্ণ যে সেচের জল আউটলেটের কেন্দ্রীয় অংশে প্রবেশ করে না।এই জায়গায় আর্দ্রতা ধরে রাখা দ্রুত পচে যেতে পারে এবং গাছটিকে বাঁচানো আর সম্ভব হবে না। আপনি স্যাম্পে জল দেওয়ার অনুশীলন করতে পারেন।

আর্দ্রতা স্তর

বাতাসের আর্দ্রতা অ্যালোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে না, এটি প্রায় যেকোনো পরিস্থিতিতে ভাল বৃদ্ধি পায়। তবে কখনও কখনও খুব শুষ্ক বাতাস গাছের পাতার প্রান্ত শুকিয়ে যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে, অ্যালো আলতোভাবে স্প্রে করা যেতে পারে।

মেঝে

একটি ফুলের জন্য উপযুক্ত মাটিতে দুটি অংশ টারফ, এবং পাতাযুক্ত মাটি এবং বালি থাকা উচিত। এটিকে একটি আলগা টেক্সচার দিতে, আপনি এতে সামান্য কাঠকয়লা, পার্লাইট বা ইট যোগ করতে পারেন। আপনি succulents জন্য ক্রয় মাটি ব্যবহার করতে পারেন. মিশ্রণের প্রতিক্রিয়া নিরপেক্ষ বা সামান্য অম্লীয় হওয়া উচিত। পিট additives অবাঞ্ছিত হয়.

শীর্ষ ড্রেসার

বসন্ত থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বরে শেষ পর্যন্ত বিশ্রামের সময় শেষে উদ্ভিদ খাওয়ানো শুরু করে। সার মাসিক প্রয়োগ করা হয়, এবং শরৎ খাওয়ানোর সূত্রপাত সঙ্গে নতুন ঋতু পর্যন্ত বিঘ্নিত হয়। ঘৃতকুমারী ছয় মাসেরও কম বয়সী, এবং আপনার নতুন প্রতিস্থাপিত নমুনা খাওয়ানো উচিত নয়।

স্থানান্তর

উদ্ভিদটি প্রতিস্থাপন করা হয় যখন এটির জন্য পূর্বের ক্ষমতা ছোট হয়ে যায়। তরুণ, আরও সক্রিয়ভাবে ক্রমবর্ধমান ঝোপগুলি প্রতি 2 বছরে সরানো হয়, এবং বাকিগুলি প্রায়শই অর্ধেক হয়।

গাছের শিকড়ের ক্ষতি এড়াতে, রোপণের আগের দিন প্রচুর পরিমাণে ঘৃতকুমারীকে জল দিন। ফুলটি নতুন জায়গায় সরানোর পরে, মাটিকেও কিছুটা জল দেওয়া যেতে পারে এবং তারপরে পাত্রের মাটিকে আর্দ্র করবেন না। প্রায় এক সপ্তাহ।

রোপণের পাত্রটি রুট সিস্টেমের আকার অতিক্রম করা উচিত যাতে প্রতিটি পাশের দেয়ালে প্রায় 3 সেমি থাকে। একই সময়ে, পাত্রের অত্যধিক গভীরতার প্রয়োজন নেই, তবে পর্যাপ্ত নিষ্কাশন স্তরের জন্য জায়গা থাকা উচিত।নীচে গর্ত সহ কাদামাটির মডেলগুলি বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় - অতিরিক্ত আর্দ্রতা সেখানে স্থির থাকে না এবং অক্সিজেন শিকড়ে প্রবাহিত হতে থাকে। ব্যবহারের আগে, এই জাতীয় জারটি অবশ্যই ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

পুষ্প

ঘৃতকুমারী উজ্জ্বল ফুলের সাথে বড় বৃন্ত গঠন করে, তবে ফুল ফোটার জন্য এটির দিনের আলো এবং নির্দিষ্ট তাপমাত্রা - শীতল অবস্থার প্রয়োজন। অ্যাপার্টমেন্টে এই জাতীয় জলবায়ু পুনরায় তৈরি করা কঠিন হতে পারে, তাই অ্যালো ব্যবহারিকভাবে বাড়িতে ফুল ফোটে না। যদি গাছটি তবুও একটি বৃন্ত নির্গত করে, তবে ফুল ফোটার পরে এটি কেটে ফেলা হয়।

ঘৃতকুমারী জন্য প্রজনন পদ্ধতি

বীজ থেকে বেড়ে উঠুন

বাকিদের তুলনায় বীজ দ্বারা ঘৃতকুমারীর প্রজনন পদ্ধতি বেশ দীর্ঘ বলে মনে করা হয়। রোপণ ট্রেতে একটি নিষ্কাশন স্তর স্থাপন করা প্রয়োজন এবং তারপরে এটি বালুকাময় মাটি দিয়ে পূরণ করুন। শীতের শেষের দিকে বা বসন্তের শুরুতে বপন করা হয়। চারা নিয়মিত আর্দ্রতা পাশাপাশি বায়ুচলাচল প্রয়োজন হবে. অঙ্কুর সরাসরি সূর্যালোক থেকে রক্ষা করা উচিত। তাদের বিষয়বস্তুর জন্য সর্বোত্তম তাপমাত্রা +20 হয়। মাসিক চারা পৃথক পাত্রে ডুব দেয়। রোপণের তিন মাস পরে, এগুলি বড় পাত্রে স্থানান্তরিত হয়, অতিরিক্ত আর্দ্র না করার চেষ্টা করে। এই গাছপালা ইতিমধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের হিসাবে একই ভাবে যত্ন করা হয়.

অঙ্কুর দ্বারা প্রজনন

ঘৃতকুমারী উদ্ভিজ্জভাবে প্রচার করতে, আপনি বীজের মতো একই হালকা মাটি নিতে পারেন। বসন্ত বা গ্রীষ্মের প্রথম দিকে, তরুণ মূলের অঙ্কুরগুলি গুল্ম থেকে আলাদা করা হয় এবং তাদের নিজস্ব পাত্রে রোপণ করা হয়। এটা ভাল যদি এই ধরনের একটি শিশুর ইতিমধ্যে তার নিজস্ব শিকড় আছে। যদি সেগুলি আলাদা করার সময় ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তবে অঙ্কুরটিকে বাতাসে কিছুটা শুকিয়ে তারপর মাটিতে রোপণ করা প্রয়োজন। আরও স্থিতিশীলতার জন্য, বাচ্চাদের খুঁটিগুলির সাথে সংযুক্ত করা যেতে পারে।একবার চারা শিকড় হয়ে গেলে এবং বড় হতে শুরু করলে, প্রাপ্তবয়স্ক ঘৃতকুমারীর মতোই তাদের যত্ন নেওয়া যেতে পারে। শিকড়ের চেহারা ত্বরান্বিত করার জন্য, অঙ্কুরগুলি জল সহ একটি পাত্রে প্রাক-সংরক্ষিত করা যেতে পারে।

অঙ্কুরের ডগা, এর অংশ বা পাতা ব্যবহার করে ঘৃতকুমারীর বংশবিস্তার করাও সম্ভব। এই জাতীয় পদ্ধতির জন্য, 8 বা তার বেশি পাতার প্লেট সহ একটি উদ্ভিদ উপযুক্ত। কাটার পরে, অঙ্কুরটি ছায়াময় জায়গায় বেশ কয়েক দিন শুকানো হয় যাতে কাটাটি শক্ত করার সময় থাকে। জীবাণুমুক্ত করার জন্য, এটি অতিরিক্তভাবে কাঠকয়লা পাউডার দিয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। প্রস্তুত ডালপালা বালিতে 3 সেন্টিমিটারের কম গভীরতায় রোপণ করা হয়। এই ধরনের রোপণ উপাদান আগে জলে রাখা হয় না - এটি সাধারণত পচনের দিকে পরিচালিত করে। যতক্ষণ না শিকড়গুলি উপস্থিত হয়, রোপণগুলিকে পরিমিতভাবে জল দেওয়া হয়, স্তরটিকে শুকিয়ে যাওয়া থেকে রোধ করার চেষ্টা করে। শিকড়ের এক সপ্তাহ পরে, চারাগুলি সাধারণ মাটি সহ ছোট পাত্রে স্থানান্তরিত হয়। প্রজননের এই পদ্ধতিটি প্রায় সারা বছরই করা যেতে পারে, তবে এটি বসন্তে করা ভাল - এই সময়ে শিকড়গুলি দ্রুততম বলে মনে হয়।

ঘৃতকুমারী রোগ এবং কীটপতঙ্গ

বেশিরভাগ অ্যালো রোগ সাধারণত ফুলের যত্নে ত্রুটির কারণে ঘটে।

• পাতার বিবর্ণ রঙ এবং এর অলসতা সাবস্ট্রেটের অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, মাটির পৃষ্ঠের শুকানোর সময় নেই। কারণটি হতে পারে অপর্যাপ্ত মানের বা কম্পোজিশনের ক্ষেত্রে অনুপযুক্ত মাটি। শুধুমাত্র গুল্মের নীচের পাতাগুলি নরম হতে পারে, উপরের পাতাগুলি ইলাস্টিক থাকা উচিত।
• হলুদ পাতাগুলি চাপ বা অনুপযুক্ত ক্রমবর্ধমান অবস্থার প্রতিক্রিয়া।উদাহরণস্বরূপ, একটি পাত্রে একটি উদ্ভিদ আড়ষ্ট হতে পারে, পুষ্টির অভাব হতে পারে, ঘরটি খুব গরম, বা ফুলের শিকড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
• আলোর অভাবের কারণে শটগুলি সরানো হয়। এই ক্ষেত্রে, ঘৃতকুমারী দ্রুত তার আলংকারিক প্রভাব হারাতে পারে। এটি এড়াতে, গুল্মটি প্রদীপ দিয়ে আলোকিত হয়, দিনের আলোকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করে।
• অঙ্কুর বা মূল পচা অত্যধিক জলের সাথে যুক্ত। আউটলেটে জলের ফোঁটা প্রবেশ করার কারণে ঘৃতকুমারীর ডালপালা পচে যেতে পারে৷ ঘরটি খুব ঠান্ডা হলে এই জাতীয় রোগগুলি বিশেষত দ্রুত বিকাশ লাভ করে৷ গাছটিকে বাঁচাতে, গুল্মটির ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলি সরিয়ে ফেলা উচিত, তাজা মাটিতে প্রতিস্থাপন করা উচিত এবং 3 সপ্তাহের বিরতি দিয়ে জল দেওয়ার ব্যবস্থা সামঞ্জস্য করার চেষ্টা করা উচিত। শিকড় খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, আপনি একটি স্বাস্থ্যকর সবুজ অংশ কেটে ফেলার চেষ্টা করতে পারেন।
• পাতার ডগা শুকিয়ে যাওয়া বাতাসের শক্তিশালী শুষ্কতার সাথে যুক্ত। যদিও অ্যালো আর্দ্রতার পরিবর্তনের জন্য খুব সংবেদনশীল নয়, তবে খুব কম স্তর এখনও এর পাতার চেহারাকে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়াও, অপর্যাপ্ত ঘন ঘন জল দেওয়ার কারণে তাদের উপর বাদামী দাগ তৈরি হতে পারে। পুরো পাতা শুকিয়ে যাওয়া গাছের ক্ষয়কে নির্দেশ করতে পারে: পাত্রের একটি অসফল পছন্দ বা অপর্যাপ্ত পুষ্টিকর মাটি। স্বাভাবিক অবস্থায়, 5 বছরের বেশি বয়সী বুশের নীচের পাতাগুলি শুকিয়ে যেতে পারে।
• সেচের জন্য জল জমে যাওয়া বা গাছের যত্নে কোনো আমূল পরিবর্তনের কারণে পাতা ঝরা হতে পারে।
• গাছের পাতায় গাঢ় দাগ মানে ফুল জমে যাচ্ছে। যদি পাত্রটি ঠাণ্ডা খসড়াতে থাকে বা +8 ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রায় অ্যালোযুক্ত ঘরে থাকে তবে গাছটিকে একটি উষ্ণ এবং আরও সুরক্ষিত জায়গায় সরানো উচিত।ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ঘরের বায়ুচলাচলের যত্ন নেওয়া উচিত।

মাইট, মেলিবাগ, এফিড এবং স্কেল পোকাকে ঘৃতকুমারীর কীট হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু ফুল খুব কমই এটি দ্বারা প্রভাবিত হয়। কৃমি এবং টিক একটি সাবান দ্রবণ দিয়ে অপসারণ করা যেতে পারে, স্ক্যাবার্ডটি ভিনেগারে ভিজিয়ে একটি তুলো দিয়ে সরানো যেতে পারে, তবে শক্তিশালী ফোসিটিকে কীটনাশক দিয়ে চিকিত্সা করা দরকার।

ফটো এবং নাম সহ অ্যালো প্রধান ধরনের

সাদা ফুলের অ্যালো (অ্যালো অ্যালবিফ্লোরা)

এই প্রজাতির কোনো কাণ্ড নেই। এটি প্রায় 5 সেমি চওড়া সরু পাতা রয়েছে। এর দৈর্ঘ্য 25 সেন্টিমিটারে পৌঁছায়। প্লেটের নিজেই একটি ধূসর-সবুজ আভা রয়েছে। পাতার প্রান্তটি হালকা কাঁটা দিয়ে আচ্ছাদিত এবং পাতার উপরেই অসংখ্য হালকা বিন্দু রয়েছে। প্রজাতিটি তুষার-সাদা ফুলের সাথে অর্ধ-মিটার বৃন্ত গঠন করে। এই ধরনের ঘৃতকুমারী শিশুর শিকড়ের সাহায্যে দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি করে।

ফ্যান ঘৃতকুমারী (ঘৃতকুমারী plicatilis)

হয় ছাতা ঘৃতকুমারী (অ্যালো ট্রিপেটালা), লিঙ্গুয়াল (অ্যালো লিঙ্গুয়া), অথবা লিঙ্গুয়াল (অ্যালো লিঙ্গুয়াফর্মিস)। শক্ত স্টেম সহ ঝোপ, 5 মিটার পর্যন্ত। এটি শক্তিশালী শাখা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়: এর ট্রাঙ্ক শাখাগুলিতে বিভক্ত হয় এবং প্রতিটির নিজস্ব রোসেট রয়েছে। তাদের মধ্যে পাতা পাখা আকৃতির হয়। এই ধরনের একটি সকেটে প্লেটের সংখ্যা কখনও কখনও 16 টুকরা পৌঁছায়। প্রতিটি পাতা একটি বৃত্তাকার শীর্ষ সঙ্গে একটি রৈখিক আকৃতি আছে। দৈর্ঘ্যে, এটি সাধারণত 30 সেন্টিমিটারের বেশি হয় না, এবং প্রস্থে - 4 সেমি। শীটের প্রান্তগুলি সাধারণত মসৃণ হয়। প্রতিটি রোসেট প্রায় 30 টি লাল ফুলের সাথে একটি বড় ব্রাশ স্টেম গঠন করতে পারে।

যেমন একটি উদ্ভিদ আরো ঘন ঘন জল প্রয়োজন হবে।

ঘৃতকুমারী

অথবা অ্যালো ল্যাঞ্জা (ফ্লো ল্যাঞ্জা), বার্বাডোস (অ্যালো বারবাডেনসিস), ভারতীয় (অ্যালো ইন্ডিকা)। যেমন একটি উদ্ভিদ ছোট অঙ্কুর আছে। এটিতে সবুজ ল্যান্সোলেট পাতার তৈরি ছোট রোসেট রয়েছে। প্রায়শই তাদের উপর হালকা দাগ থাকে এবং প্রান্তের চারপাশে গোলাপী কাঁটা থাকে।এর কম্প্যাক্টনেস সহ, পাতার দৈর্ঘ্য 50 সেন্টিমিটারে পৌঁছাতে পারে। উদ্ভিদটি একটি দৃশ্যমান বৃন্ত গঠন করতে পারে, যার উপর হালকা হলুদ ফুলের সাথে বেশ কয়েকটি ব্রাশ রয়েছে। এছাড়াও লাল ফুলের সাথে বৈচিত্র্য রয়েছে।

ঘৃতকুমারী descoingsii

এটি একটি ছোট স্টেম বৈশিষ্ট্য. ক্ষুদ্র প্রসারিত ত্রিভুজাকার পাতা (4 সেমি পর্যন্ত) থেকে ছোট গোলাপ তৈরি করে। ধূসর-সবুজ পাতার ব্লেডের উপরিভাগ হালকা দাগ দিয়ে আচ্ছাদিত। পেডুনকল-ব্রাশের মাত্রা 30 সেন্টিমিটারে পৌঁছায়। এতে সেন্টিমিটার কমলা ফুলের টিউব থাকে। প্রজাতির শিকড়ের অঙ্কুর দ্বারা বংশবিস্তার করা সহজ।

অ্যালো জ্যাকসোনি

একটি ছোট কান্ড সহ এক ধরণের গুল্ম গঠন করে। এটির প্রান্তে ছোট কাঁটা সহ 10 সেমি পাতা রয়েছে। একই সময়ে, পাতার শীর্ষে একটি বড় কাঁটা রয়েছে। গাছের পাতা, সামনের দিকে এবং বীজযুক্ত উভয় দিকে, একটি মোম ফুল এবং হালকা দাগ দিয়ে আচ্ছাদিত। ফুল ফোটার সময়, লাল ফুলের সাথে একটি 20 সেমি বৃন্ত গঠিত হয়।

অ্যালো ডিকোটোমা

গাছের মতো উদ্ভিদ, 8 মিটার উচ্চতায় পৌঁছায়, সবুজ পাতায় নীলাভ আভা। এটি 40 সেমি লম্বা এবং 6 সেমি চওড়া পর্যন্ত হতে পারে। পাতার পৃষ্ঠটি মোমের একটি স্তর দিয়ে আচ্ছাদিত এবং প্রান্ত বরাবর ছোট কাঁটা রয়েছে। বৃন্তে নলাকার হলুদ ফুলের 1-3টি পুষ্পবিন্যাস থাকতে পারে।

ঘৃতকুমারী (অ্যালো আর্বোরসেন্স)

এই অ্যালোকে সাধারণত "অ্যাগেভ" বলা হয়। নামটি উদ্ভিদের দীর্ঘ জীবনের সাথে জড়িত। বৃহত্তম সবুজ ভর মধ্যে পার্থক্য. এটি একটি গুল্ম বা একটি গাছের আকারে হতে পারে, উচ্চতায় 3 মিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। উপরে, এর অঙ্কুরগুলি সক্রিয়ভাবে শাখায় রয়েছে এবং নীচের অংশে তারা সময়ের সাথে খালি হতে শুরু করে। পাতার ব্লেড মাংসল এবং পুরু, তরবারি আকৃতির, তবে কিছুটা বাঁকা। প্রতিটি শীটের দৈর্ঘ্য অর্ধেক মিটারে পৌঁছায় এবং প্রস্থ 6 সেমি।পাতাগুলি একটি ধোঁয়াটে সবুজ বর্ণ ধারণ করে এবং প্রান্তে 3 মিমি পর্যন্ত লম্বা কাঁটা দিয়ে আবৃত থাকে। ফুলের সময়কাল মে বা জুনে, তবে প্রজাতিগুলি খুব কমই বাড়িতে ফুল ফোটে। গাছের আকৃতির অ্যালোর ফুলের রঙ গোলাপী, হলুদ বা লাল।

ঘৃতকুমারী

স্তব্ধ দৃষ্টি। বাঁকা চকচকে সবুজ পাতা আছে। এটি 50 সেমি লম্বা এবং 5 সেমি চওড়া পর্যন্ত পরিমাপ করতে পারে। প্রান্তে ছোট দাঁত আছে। পুষ্পগুলি 5 সেন্টিমিটার পর্যন্ত লাল, কমলা বা হলুদ ফুলের হয়।

ক্যাপ আকৃতির ঘৃতকুমারী (অ্যালো মিট্রিফর্মিস)

এটি একটি ছোট কান্ড আছে। বৃত্তাকার ত্রিভুজাকার পাতার একটি টাইট রোসেট আছে। তাদের দৈর্ঘ্য 20 সেমি, এবং তাদের প্রস্থ 15 সেমি হতে পারে। পাতার রঙ ধূসর-নীল থেকে সাধারণ সবুজ পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়। ভিতর থেকে এবং প্রান্ত বরাবর, পাতা ছোট কাঁটা দিয়ে আচ্ছাদিত করা হয়। রোজেট একটি বড় বৃন্ত গঠন করে, ফুলে উজ্জ্বল লাল বা সামান্য বেশি সূক্ষ্ম ফুল থাকে। বাড়িতে, ফুল বিরল।

সংক্ষিপ্ত পাতার ঘৃতকুমারী (অ্যালো ব্রেভিফোলিয়া)

রসালো রোসেট গঠন করে। পাতার আকৃতি ভিন্ন হতে পারে: ল্যান্সোলেট বা ত্রিভুজাকার সহ। পাতার দৈর্ঘ্য মাত্র 11 সেমি, প্রস্থ 4. পাতার প্রান্ত বরাবর, পাশাপাশি তাদের বাইরের পৃষ্ঠে, ছোট, হালকা দাঁত আছে। পাতার রং নীলাভ সবুজ। লাল ফুল উল্লম্ব বৃন্তে অবস্থিত।

ঘৃতকুমারী বেলাটুলা

একটি কান্ডবিহীন প্রজাতি যা মাদাগাস্কারে বাস করে। 15 সেন্টিমিটার পাতা রয়েছে, সরাসরি মূল থেকে বৃদ্ধি পায়। একই সময়ে, এর প্রস্থ মাত্র 1 সেন্টিমিটারে পৌঁছায়। গাঢ় সবুজ পাতাগুলি ছোট হালকা বৃদ্ধি এবং দাগ দ্বারা পরিপূরক হয় এবং প্রান্ত বরাবর ছোট কাঁটা দিয়ে আচ্ছাদিত হয়। ফুল ঘণ্টা আকৃতির এবং প্রবাল রঙের।

ঘৃতকুমারী

ঝোপ 3 মিটার পর্যন্ত লম্বা। এর আয়তাকার মাংসল পাতা রয়েছে যার উপর একটি মোমের আবরণ রয়েছে।পাতাগুলি ধূসর-সবুজ রঙের হয়, তারা দৈর্ঘ্যে 1.5 মিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে এবং তাদের প্রস্থ 30 সেন্টিমিটার। পাতার পৃষ্ঠে এবং ভিতরে, পাশাপাশি এর প্রান্ত বরাবর, অসংখ্য লালচে কাঁটা রয়েছে। ফুল কমলা-লাল রঙের হয়।

সাবান ঘৃতকুমারী (অ্যালো স্যাপোনারিয়া)

হয় সাবানযুক্ত বা দাগযুক্ত ঘৃতকুমারী (অ্যালো ম্যাকুলাটা)। এটির একটি শাখাযুক্ত কান্ড রয়েছে যার বেশ কয়েকটি রোসেট রয়েছে। এতে চ্যাপ্টা বাঁকা সবুজ পাতা রয়েছে। দৈর্ঘ্যে, তারা 60 সেমি, এবং প্রস্থে - 6 সেমি পর্যন্ত পৌঁছায়। উভয় দিকে পাতাগুলি হালকা সবুজ দাগ দিয়ে আচ্ছাদিত এবং প্রান্ত বরাবর 0.5 মিমি পর্যন্ত কাঁটা রয়েছে। ছোট inflorescences- brushes রং হলুদ, কিন্তু কখনও কখনও তারা লাল হতে পারে.

অ্যালো অ্যারিসটাটা (অ্যালো অ্যারিসটাটা)

ছোট কান্ড সহ একটি গুল্ম গঠন করে। ছোট পাতা আছে। এটি সবুজ রঙের, তবে হালকা টিউবারকল রয়েছে এবং পাতার প্রান্ত বরাবর ছোট কাঁটা রয়েছে। প্লেটের আকারটি একটি ত্রিভুজের মতো, এবং এর শীর্ষে একটি দীর্ঘ হালকা সুতো রয়েছে। একটি চিত্তাকর্ষক বৃন্ত রেসমোজ ফুলের একটি ক্লাস্টার গঠন করে, যার প্রতিটিতে লালচে আভা সহ 30টি পর্যন্ত কমলা ফুল থাকে।

ঘৃতকুমারী দূরত্ব

এই প্রজাতির ডালপালা 3 মিটার পৌঁছতে পারে। এটির উপরের অংশে একটি ধারালো বিন্দু সহ ছোট ডিম্বাকার ব্লেড রয়েছে। পাতার আকার 10 সেমি বাই 6 সেমি (গোড়ায়)। ছোট সাদা কাঁটাগুলির সারি প্রান্ত বরাবর এবং পাতার মাঝখানে চলে। ফুলের রং হলুদ।

অ্যালো স্ট্রিয়াটা

বা ধূসর অ্যালো। দক্ষিণ আফ্রিকার কান্ডহীন দৃশ্য। ধূসর-সবুজ পাতার সাথে ঘন রোসেট তৈরি করে। প্রান্তে, মাংসল পাতায় লালচে আভা থাকে। পাতার প্রান্তটি মসৃণ, তাদের দৈর্ঘ্য 50 সেমি, প্রস্থ 15 সেমি পর্যন্ত পৌঁছায়। বৃন্তটি একবারে ছোট ছোট লাল ফুলের বেশ কয়েকটি ফুল তৈরি করে। তাদের গঠনের সময়কাল বসন্তের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে পড়ে।

টাইগার অ্যালো (অ্যালো ভ্যারিগেটা)

অথবা বৈচিত্রময় ঘৃতকুমারী, ausana (Aloe ausana), বিন্দু (Aloe punctata)। 30 সেমি উচ্চতা পর্যন্ত কমপ্যাক্ট গুল্ম। এর কোন কান্ড নেই, এর প্রসারিত পাতা দৈর্ঘ্যে 15 সেন্টিমিটার এবং প্রস্থে 6 সেমি পর্যন্ত পৌঁছায়। পাতাগুলি গাঢ় সবুজ রঙের এবং হালকা বিন্দু এবং রেখাযুক্ত বিন্দুযুক্ত। ফুল লাল, গোলাপী বা হলুদ হতে পারে।

অ্যালো ফেরক্স

ঝোপ 3 মিটার উচ্চতায় পৌঁছায়। অ্যালো ফেরক্সের একটি খাড়া কান্ড রয়েছে, এর উপরের অংশে প্রায় 15 সেন্টিমিটার চওড়া পাতার আধা মিটার রোসেট রয়েছে। পাতাগুলি সবুজাভ, তবে কখনও কখনও তাদের লাল আভা থাকে। প্রান্ত বরাবর, পাতাগুলি দাঁত দিয়ে আচ্ছাদিত হয়, কখনও কখনও প্লেটের উপরিভাগে উপস্থিত হয়। আউটলেট থেকে লাল-কমলা ফুল সহ একটি বড় বৃন্ত দেখা যায়।