ক্রমবর্ধমান মূলা: কিভাবে ফসল পেতে

গ্রীষ্মকালীন বাসিন্দা এবং উদ্যানপালকদের মধ্যে, এটি সর্বদাই অভিমত যে মূলা হল সবচেয়ে নজিরবিহীন প্রথম দিকের সবজি ফসল, যা প্রায় রক্ষণাবেক্ষণ-মুক্ত। বীজ বপন করা হয়েছে, কীটপতঙ্গ এড়ানো হয়েছে এবং জল দেওয়া হয়েছে। প্রথম ফসল এক মাসেরও কম সময়ে তোলা যায়। দেখে মনে হয়েছিল যে মূলাগুলি নিজেরাই বেড়ে উঠতে পারে এবং এখনও একটি ভাল ফসল আনতে পারে।

দুর্ভাগ্যক্রমে, প্লটের বর্তমান মালিকদের ক্রমবর্ধমান মূলা সম্পর্কে প্রচুর অভিযোগ এবং প্রশ্ন রয়েছে। হয় বীজের অঙ্কুরোদগম দুর্বল বা শিকড়গুলি প্রয়োজনীয় গড় আকারে বিকশিত হয় না। আসুন এই সমস্যাগুলি কেন দেখা দেয় এবং কীভাবে এগুলি এড়ানো যায় তা বোঝার চেষ্টা করি?

মূলা বৃদ্ধির সময় প্রধান সমস্যা

কম বীজ অঙ্কুর

কারণটি হল মাটি খুব ঠান্ডা এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতা সহ। এই জাতীয় পরিস্থিতিতে, বীজগুলি বৃদ্ধি পায় না, তবে পচতে শুরু করে এবং অঙ্কুরিত হয় না।

সমাধান হল মুলার বীজ রোপণের আগে ভিজিয়ে রাখা। যাতে তারা অতিরিক্ত আর্দ্রতা থেকে পচে না যায়, সেগুলিকে প্রাকৃতিক ফ্যাব্রিকের তৈরি একটি ব্যাগে রাখা এবং বীজ বপনের প্রায় সাত দিন আগে (বিশ সেন্টিমিটারের বেশি গভীরতা নয়) সাইটে একটি ছোট গর্তে পুঁতে দেওয়া ভাল। ফ্যাব্রিক আর্দ্রতা ধরে রাখবে, কিন্তু পচা প্রতিরোধ করবে। বীজ বপনের আগে, বীজ দুই ঘন্টার জন্য শুকানো উচিত।

শিকড় গঠন ঘটে না

এর কারণ হল বিছানা ছায়ায় (আলো এবং তাপের অভাব) এবং মাটিতে পটাশিয়ামের অভাবও রয়েছে।

সমাধান - বীজ রোপণের সময়, কাঠের ছাই মাটিতে যোগ করতে হবে এবং মূলার বিছানাটি রৌদ্রোজ্জ্বল জায়গায় হওয়া উচিত।

দরিদ্র মানের মূলা - প্রচুর ফাইবার বা ভিতরে "খালি" সহ

কারণসমূহ:

• মাটিতে অতিরিক্ত নাইট্রোজেন থাকে;
• অনুপযুক্ত জল (মাটিতে প্রচুর বা সামান্য আর্দ্রতা);
• বীজ গভীরভাবে বপন করা হয়;
• দেরিতে ফসল।

সিদ্ধান্ত:

• জল দেওয়ার নিয়ম অনুসরণ করুন।
• নাইট্রোজেন ধারণকারী ড্রেসিং প্রয়োগের হার অতিক্রম করবেন না।
• পাঁচ মিলিমিটারের বেশি গভীরে বীজ রোপণ করবেন না।
• সার হিসাবে সার ব্যবহার করবেন না।
• শেকড়ের শস্যগুলি বিছানায় অতিমাত্রায় প্রকাশ করা উচিত নয়, তবে সময়মতো কাটা উচিত।

মূলা তীরের মধ্যে প্রবেশ করে এবং ফুল ফোটে

কারণসমূহ:

• পুরানো এবং খুব ছোট বীজ রোপণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল;
• উদ্ভিদের মূল সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়;
• দীর্ঘ দিনের আলোর ঘন্টার প্রভাব;
• শুষ্ক বায়ু এবং বায়ু তাপমাত্রা খুব বেশি।

সিদ্ধান্ত:

• রোপণের জন্য সর্বোত্তম মানের এবং শুধুমাত্র তাজা বীজ চয়ন করা প্রয়োজন।
• প্রাথমিক রোপণের জন্য, কভার উপাদান (অস্বচ্ছ) ব্যবহার করুন।
• ফসল পাতলা করতে চিমটি ব্যবহার করুন। একটি গাছ উপড়ে ফেললে কাছাকাছি আরেকটি গাছের গোড়ার ক্ষতি হতে পারে।

কখন মূলার বীজ বপন করতে হবে

এই সবজি চাষের জন্য জলবায়ু পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।সম্প্রতি, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তুষারপাত দেখা গেছে এবং প্রায় দেড় মাস পরে, প্রকৃত গ্রীষ্মের তাপ শুরু হয়। এই বসন্ত কার্যত সময়কাল সঙ্কুচিত হয়। তবে পনের থেকে আঠারো ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মূলা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে অনুকূল। এটা দেখা যাচ্ছে যে উষ্ণতম আবহাওয়া ইতিমধ্যে মে মাসে শুরু হয়, যখন মূলা বৃদ্ধি এবং বিকাশ করা উচিত। ফলস্বরূপ, সরস মূল ফসলের পরিবর্তে, ফুলের "শীর্ষ" এর তোড়া পাওয়া যায়।

বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে, মে মাসে মূলা বপন করলে প্রত্যাশিত ফসল পাওয়া যাবে না। অনুকূল সময় হল মার্চ-এপ্রিল বা জুলাই-আগস্ট। দীর্ঘতম আলোক দিনগুলির কারণে জুন সাধারণত এই মূল ফসল রোপণের জন্য উপযুক্ত নয়, যা শুধুমাত্র "শিকড়" গঠনে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

বীজ বপনের জন্য বিভিন্ন বিকল্প রয়েছে।

শীতকালীন বপন - অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত

এই সময়ের মধ্যে, আপনাকে একটি ছোট পাহাড়ে একটি ভাল-আলোকিত জায়গা বেছে নিতে হবে, যাতে বসন্তে মাটি দ্রুত উষ্ণ হয় এবং গলে যাওয়া জল স্থির না হয়। বিছানার খাঁজগুলি কমপক্ষে পাঁচ সেন্টিমিটার গভীর হওয়া উচিত। বীজ আগে ভিজিয়ে রাখার দরকার নেই। বীজ বপনের পরে, খাঁজগুলি পিট বা হিউমাস মাটি (প্রায় দুই সেন্টিমিটার) দিয়ে আচ্ছাদিত করা উচিত, তারপরে বাগানের মাটি দিয়ে।

শীতকালীন বপন - ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি

এই সময়ের মধ্যে মূলা বপন করা তাদের জন্য আরও সুবিধাজনক যারা তাদের নিজের বাড়িতে থাকেন এবং বাগানটি এর পাশে অবস্থিত। বিছানা প্রথম পদ্ধতি হিসাবে একই এলাকায় অবস্থিত করা উচিত। বীজ সরাসরি ঠান্ডা মাটিতে রোপণ করা হয়, প্রয়োজনে তুষার অপসারণ করা হয়। কম্পোস্ট বা পিট একটি স্তর সঙ্গে বিছানা আবরণ নিশ্চিত করুন.

প্রারম্ভিক বসন্ত বপন - মার্চের শুরুর দিকে

একটি বন্ধ গ্রিনহাউসের উপস্থিতিতে, এই ধরনের বপন নিরাপদে সেখানে করা যেতে পারে। সময়মত এবং নিয়মিত জল দেওয়ার সাথে, এপ্রিলে রসালো শিকড়গুলিতে ভোজ করা সম্ভব হবে।

খোলা মাটিতে রোপণ করার সময়, প্রথমে প্রস্তুতিমূলক কাজ করা ভাল যা বিছানা গরম করতে সাহায্য করবে এবং বীজগুলিকে মরতে দেবে না। প্রায় এক সপ্তাহ পরে, মাটিতে কার্যকর অণুজীবের সাথে একটি বিশেষ সমাধান যোগ করুন এবং একটি পুরু ফিল্ম দিয়ে এলাকাটি ঢেকে দিন। এটি মাটিকে "পুনরুজ্জীবিত" করতে সহায়তা করবে। এমন মাটিতে নির্দ্বিধায় বীজ রোপণ করুন।

সাধারণভাবে, বসন্তের প্রথম দিকে বপন সরাসরি তুষার বা বরফের উপর করা যেতে পারে। তুষার এবং বরফ মাটিতে প্রবেশ করবে এবং তারা গলে বীজ নিয়ে যাবে। যাইহোক, ভিজা এবং ঠাণ্ডা অবস্থায় খুব দীর্ঘ এক্সপোজার বীজ ধ্বংস করতে পারে।

দেরিতে বপন - জুলাই থেকে আগস্ট

এই সময়ের মধ্যে রোপণ করা মূলা সাধারণত প্রথম দিকের মূলার চেয়ে খারাপ এবং কখনও কখনও আরও ভাল হয় না। এটি এমন জায়গায় রোপণ করা যেতে পারে যেখানে ইতিমধ্যে সবজি কাটা হয়েছে। বীজ বপনের পরপরই শুকনো ঘাস দিয়ে মাটি ঢেকে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই সময়ে জন্মানো মূলা খুব বিরল ক্ষেত্রে অঙ্কুর ছেড়ে দেয়।

মূলা বপনের নিয়ম

মূলার বিছানার জন্য জায়গাটি একটি খোলা জায়গায় হওয়া উচিত, গাছ এবং লম্বা ঝোপ থেকে দূরে, সূর্যের আলোতে ভালভাবে আলোকিত।

মূলা ক্রুসিফেরাস গাছের পরে রোপণ করা উচিত নয়, বিশেষত বাঁধাকপির পরে।এই ফসলের আদর্শ অগ্রদূত হবে শসা, টমেটো, আলু, স্কোয়াশ, মটরশুটি এবং কুমড়া।

রোপণের জন্য মাটি যে কোনও রচনার জন্য উপযুক্ত, তবে সর্বদা আলগা হয়। খাঁজগুলি 2 সেন্টিমিটার গভীর (উর্বর মাটিতে) বা 4 সেন্টিমিটার ("দরিদ্র" মাটিতে) তৈরি করা হয়।

বীজ বপনের আগে, সূক্ষ্ম বালি এবং কাঠের ছাইয়ের একটি ছোট স্তর বার্বগুলিতে ঢেলে দেওয়া উচিত এবং কম্পোস্টটি "দরিদ্র" মাটির প্রথম স্তরও হবে। বীজের মধ্যে দূরত্ব প্রায় 5 সেন্টিমিটার, এবং সারিগুলির মধ্যে - 15 সেন্টিমিটার। এই ধরনের বপনের সাথে, ভবিষ্যতে গাছপালা পাতলা করার প্রয়োজন হবে না। রোপণ বীজ গভীর হওয়া উচিত নয় - অর্ধ সেন্টিমিটারের বেশি নয়, অন্যথায় শিকড়গুলি তন্তুযুক্ত হবে।

শুধুমাত্র প্রাথমিক পাকা জাতের মূলা বপন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। দেরী জাতগুলি বাড়তে এবং তীরগুলিতে যাওয়ার সময় নাও থাকতে পারে।

চারাগুলির উত্থানকে ত্বরান্বিত করার জন্য, বীজগুলিকে (অন্তত 15-20 মিনিটের জন্য) ভিজিয়ে রাখা এবং সেগুলিকে প্রাক-বাছাই করা প্রয়োজন। মূল ফসল বড় বীজ থেকে আগে গঠিত হয়। ভেজা বীজ বপন করার সময়, চারাগুলি একদিনের মধ্যে প্রদর্শিত হবে এবং শুকনোগুলি 4-5 দিন পরেই চারা দেবে।

মুলার যত্নের নিয়ম

মূলার প্রচুর পরিমাণে এবং নিয়মিত জল দেওয়া প্রয়োজন (প্রতিদিন, সকাল এবং সন্ধ্যা)। আর্দ্রতার অভাবের কারণে, গাছটি ফুলতে শুরু করবে। বপনের পরপরই প্রথম জল দেওয়া উচিত।

অবিলম্বে এটি aisles mulch করা প্রয়োজন. টাটকা কাটা ঘাস, পাইন বা স্প্রুস সূঁচ, করাত মূলের জন্য একটি চমৎকার মাল্চ। তিনি দীর্ঘ সময়ের জন্য বিছানায় প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় রাখতে সক্ষম হবেন, যা মূল ফসলের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশৃঙ্খল বীজ-মুক্ত রোপণের সাথে উদ্ভিদের মধ্যে ব্যবধান পর্যবেক্ষণ না করে, পাতলা করতে হবে। তরুণ, কিন্তু দুর্বল গাছপালা, পাঁচ সেন্টিমিটার উঁচু, উপরে থেকে চিমটি করার পরামর্শ দেওয়া হয়, তবে কোনও ক্ষেত্রেই টেনে বের করা হয় না, যাতে প্রতিবেশী, শক্তিশালী এবং শক্তিশালী গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

আগাম কীটপতঙ্গ থেকে গাছপালা সুরক্ষা যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান হল ক্রুসিফেরাস ফ্লী। এটি তরুণ কোমল এবং অপরিণত গাছপালা খাওয়ায়। সুরক্ষা হিসাবে, আপনি ঘন উপাদান দিয়ে তৈরি একটি আবরণ ব্যবহার করতে পারেন যা আর্দ্রতা এবং বায়ুকে অতিক্রম করতে দেয় না।

ফল গঠনের পর্যায়ে, একটি বড় পরিমাণ আলো মূলা জন্য contraindicated হয়। দিনের আলো কমাতে, আপনি অস্বচ্ছ ছাদ উপাদান ব্যবহার করতে পারেন, যা বিকেলে ব্যবহার করা হয় (প্রায় 6:00 p.m. পরে)।

মাটিতে পাকা ফলের অত্যধিক এক্সপোজার রস এবং ফাঁপাতা নষ্ট করে, তাই আপনার সময়মতো ফসল কাটা দরকার।

মূলা রোপণের পদ্ধতি (ভিডিও)